স্বামীর সঙ্গে তার এক নতুন সঙ্গীর ছবি দেখে নিজের পাঁচ সন্তানকে হত্যা করেছিলেন এক তরুণী। এই অপরাধে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, জার্মানির জলিঙ্গেন শহরে বাসিন্দা ওই নারীর ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণী স্বামীর সঙ্গে নতুন এক পার্টনারের ছবি দেখার পর নিজের পাঁচ সন্তানকে গতবছর সেপ্টেম্বরে হত্যা করেছিলেন।
বিচারক এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ ১৫ বছর কারাভোগের পরও ওই তরুণী প্যারোল আবেদন করতে পারবেন না বলে অপরাধের ধরন বিবেচনা করে আদালত জানিয়েছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর ছয় সন্তান ছিল৷ স্বামীর সঙ্গে নতুন এক সঙ্গীর ছবি দেখার পর তিনি স্বামীকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে জানান, স্বামী আর তার সন্তানদের কখনো দেখতে পারবেন না৷
এরপর পাঁচ সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাথটাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়৷ সন্তানদের বয়স আট মাস থেকে আট বছর পর্যন্ত ছিল৷ সবচেয়ে বড় ১১ বছরের সন্তান ওই সময় বাড়িতে না থাকায় বেঁচে যায়৷ সন্তানদের হত্যার পর চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার চলাকালীন আদালতে একেবারে চুপ ছিলেন তিনি৷ পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় তার মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী৷ সেটা সম্ভব না হলে তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া ও মানসিক চিকিৎসার আবেদন করা হয়েছিল৷ তবে আদালতের নিয়োগ দেওয়া এক বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তার মারাত্মক কোনো মানসিক রোগ নেই৷
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।